শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:৩৭ অপরাহ্ন
গাইবান্ধা কিংবা কুড়িগ্রামের প্রত্যন্ত চরগুলোতে নেই জীবনযাত্রার ন্যূনতম সুবিধা। দূর্গম এই চরগুলোর সুবিধাবঞ্চিত নারীদের কর্মসংস্থান করতে গিয়েই ফ্রেন্ডশিপ সেখানে গড়ে তুলেছে কাপড় বুনন কেন্দ্র।
শ’খানেক সুবিধাবঞ্চিত নারী সেখানে কাপড় বুনছেন বাংলার ঐতিহ্যবাহী তাঁতে। তা নিয়েই ঢাকায় প্রথম প্রদর্শন কেন্দ্র শুরু করলো ফ্রেন্ডশিপের ‘কালারস ফ্রম দা চরস’।
মঙ্গলবার বাড়িধারার কালাচাঁদপুরে শুভ উদ্বোধন হয়ে গেল ফ্রেন্ডশিপের কালারস ফ্রম দা চরসের প্রথম প্রদর্শন কেন্দ্রের।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ফেন্ডশিপের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর রুনা খান, কালারস ফ্রম দা চরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর নাজরা মাহজাবিন সাবেত এবং আরো অনেকে।
প্রদর্শন কেন্দ্রে পাওয়া যাচ্ছে হাতে বোনা তাঁতের শাড়ি, সেলাইবিহীন সালোয়ার কমিজ, স্কার্ফ, ওড়না এবং দক্ষ কারুশিল্পীদের তৈরি বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকাগুলোর ক্ষুদ্র সংস্করণ।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধনের সময় রুনা খান বলেন, ফ্রেন্ডশিপের কালারস ফ্রম দা চরস এর ব্র্যান্ডের মূল ধারণাটি হল, চরে বসবাসকারী সর্বাধিক প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন করা। তাদের আশা এবং শ্রমের মর্যাদা প্রদান করা এবং একই সঙ্গে পরিবেশবান্ধব উপায়ে প্রয়োজনীয় উৎপাদন করা।
বুননের জন্য এখানে মূলত সূতী এবং সিল্কের সূতো ব্যবহার করা হয়। রং করা, ছাপা এবং সূচিকর্ম এবং কাপড় তৈরির পুরো প্রক্রিয়াতে দেশীয় পদ্ধতি এবং দেশীয় তাঁত ব্যবহার করা হয়।
ফ্রেন্ডশিপের কালারস ফ্রম দা চরস আপাদমস্তক পরিবেশবান্ধব। কাপড় তৈরিতে ব্যবহার করা রঙ এর পুরোটাই প্রাকৃতিক। কোন ধরনের ক্ষতিকর রাসায়নিক রঙ এখানে ব্যবহার করা হয় না।
গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামের পাঁচটি বুনন কেন্দ্রে এখন প্রায় একশ মহিলা কাজ করছে। গত এক দশকে এই কাজের জন্য প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে প্রায় হাজার খানেক মহিলাকে।
তাদের সবাই প্রত্যন্ত দূর্গম চর এলাকার বাসিন্দা, হতদরিদ্র বিংবা স্বামী পরিত্যক্তা।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধনের সময় প্রদর্শন কেন্দ্রে ছিল তাঁতে কাপড় বোনার সম্যক প্রদর্শনৗ। ছিল কাঠের নৌকার ক্ষুদ্র সংস্করন তৈরির আয়োজন। এসময় অতিথিরা প্রদর্শন কেন্দ্রটি ঘুরে দেখেন।