মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০১:২১ অপরাহ্ন

ঈদুল আজহা উদযাপন শেষে এবার কর্মস্থলে ফেরার পালা

ঈদুল আজহা উদযাপন শেষে এবার কর্মস্থলে ফেরার পালা

A man crosses a rail track as an overcrowded train approaches a railway station in Dhaka August 30, 2011. Millions of residents in Dhaka are travelling home from the capital city to celebrate the Eid al-Fitr holiday on Tuesday. Bangladesh will celebrate Eid al-Fitr on Wednesday. REUTERS/Andrew Biraj (BANGLADESH - Tags: RELIGION TRANSPORT)

আজ রোববার সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও বেশিরভাগ শিল্প-কারখানা খুলছে। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঢাকায় ফিরছেন কর্মজীবী মানুষ।

গাবতলী, সায়েদাবাদ ও মহাখালী বাস টার্মিনাল, কমলাপুর রেলস্টেশন এবং ঢাকা নদীবন্দরে (সদরঘাট) আজ মানুষের প্রচণ্ড ভিড় দেখা গেছে। প্রধান সড়কগুলোতে গাড়ির চাপ ছিল বেশি। যানজট না থাকলেও সিগন্যালগুলোতে গাড়ির দীর্ঘ সারি দেখা গেছে।

ফেরার পথেও দীর্ঘ যানজট আর অতিরিক্ত ভাড়ার চাপ- একই দুর্ভোগ মাথায় নিয়ে ঢাকায় ফিরছেন কর্মজীবী মানুষ। ঢাকায় ফিরে আসা যাত্রীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, ঈদের আগে সড়ক-মহাসড়কগুলোতে যে তীব্র যানজট ছিল তা আর নেই। যাত্রী চাপও তুলনামূলক কম।

এদিকে রাজধানীতে আসা ট্রেনগুলোতে যাত্রীর সংখ্যা বাড়ছে। একই সঙ্গে বাস ও লঞ্চঘাটেও রাজধানীতে ফেরা যাত্রীদের ভিড় বাড়ছে। তবে গাড়ির তুলনায় ফেরি কম থাকায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া এবং শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি ফেরি পার হতে লেগেছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা।

এদিকে সদরঘাটে যাত্রীদের জিম্মি করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেখান থেকে বাসে গন্তব্যে যেতে ২০ টাকার ভাড়ার স্থানে ১০০ টাকা বেশি ভাড়া দিতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেক যাত্রী।

কমলাপুর রেলস্টেশনে ফিরতি যাত্রীদের আনাগোনা বেড়েছে। তবে অতিরিক্ত যাত্রীর কারণে অধিকাংশ ট্রেনই নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বিলম্বে স্টেশনে আসছে। ফলে ট্রেনগুলো বিলম্বে ছাড়ছে স্টেশন থেকে। এতে করে ঘরমুখো যাত্রীদেরও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

রাজধানীর মহাখালী, গাবতলী ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, ঈদের ছুটি কাটিয়ে ঢাকায় ফিরছেন অসংখ্য মানুষ। তাদের পদচারণায় মুখর টার্মিনালগুলো। রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোতে এখনও মানুষ ও যানবাহনের চলাচল সীমিত। হোটেল, রেস্তোরাঁসহ বিভিন্ন দোকানপাটও বন্ধ।

ফলে জনবহুল রাজধানী এখনও অনেকটা ফাঁকা। কমলাপুর স্টেশন ঘুরে দেখা গেছে, রেলওয়ে পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চল থেকে ছেড়ে আসা অধিকাংশ ট্রেনই বিলম্বে আসছে। কিছু কিছু ট্রেনের ছাদে চড়ে যাত্রী আসতে দেখা গেছে। এ ছাড়া প্রতিটি ট্রেনই অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে রাজধানীতে আসছে।

কমলাপুর রেলস্টেশন ম্যানেজার সীতাংশু চক্রবর্তী জানান, ভোর থেকে আসা প্রতিটি ট্রেনেই অতিরিক্ত যাত্রী ছিল। অধিকাংশ ট্রেনের ছাদে চড়ছেন লোকজন। এ ছাড়া ট্রেনের ভেতর দ্বিগুণ যাত্রী দেখা গেছে। অতিরিক্ত যাত্রী বহনের কারণে নির্ধারিত গতির চেয়ে কম গতিতে ট্রেন চালাতে হচ্ছে।

খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেসসহ কয়েকটি ট্রেন নির্ধারিত সময়ে ঢাকায় না পৌঁছায় ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা, এমনটি স্বীকার করে তিনি বলেন, যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গিয়ে ট্রেনগুলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চালানো সম্ভব হচ্ছে না। যেসব স্টেশনে ২ মিনিট দাঁড়ানোর কথা, সেখানে ১৫-২০ মিনিট লেগে যাচ্ছে। তবে বিলম্ব হলেও মানুষজন নিরাপদে আসতে পারছেন এটিই বড় কথা।

রাজধানীর গাবতলী ও কল্যাণপুর বাস টার্মিনাল এলাকা ঘুরে অল্পসংখ্যক ঢাকামুখী মানুষের আনাগোনা লক্ষ্য করা গেছে। বেসরকারি চাকরিজীবীদের যাদের শনিবার থেকে অফিস কিংবা যারা ভিড় এড়িয়ে স্বস্তিতে ঢাকা ফিরতে চেয়েছেন মূলত তারাই ফিরেছেন।

এ ছাড়া যারা বিভিন্ন কাজে আটকে ঈদে বাড়ি যেতে পারেননি তেমন অনেককে এখনও ঢাকা ছাড়তে দেখা গেছে। সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালেও রাজধানীমুখী মানুষের ভিড় বাড়ছে। তবে এ চাপ রোববার আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তারা।

এদিকে ঈদুল আজহার চতুর্থ দিনে বরিশাল নদীবন্দরে রাজধানীমুখী কর্মজীবী মানুষের চাপ বেড়েছে। স্পেশাল সার্ভিস থাকায় লঞ্চের সংখ্যাও ছিল বেশি।

বরিশাল বিআইডব্লিউটিএর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপপরিচালক আজমল হুদা মিঠু সরকার বলেন, ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে কোনো লঞ্চ বরিশাল নদীবন্দর থেকে ছাড়তে দেয়া হবে না। নিরাপদ যাত্রার লক্ষ্যে লঞ্চ মালিক, মাস্টার-ড্রাইভার ও প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঈদের আগেই সভা ও মোটিভেশন ওয়ার্ক করা হয়েছে। যাত্রীদের বিভিন্ন ধরনের সেবার মধ্যে মেরিন ক্যাডেট ও স্কাউটদের সহায়তায় বন্দর এলাকায় শৃঙ্খলা রক্ষার কাজ করা হচ্ছে।





© All rights reserved © 2017 alltimenewsbd24.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com