বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:১২ অপরাহ্ন
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সড়ক আইন বাস্তবায়ন এবং এ নিয়ে সৃষ্ট সমস্যা সমাধানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পরিবহন নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে যেসব দাবি ছিল তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হবে। তবে এই মুহূর্তে নতুন করে কিছু করা সম্ভব নয়। সংসদে যেহেতু আইন পাস হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও এ বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আইন প্রয়োগ করতে গিয়ে দেশজুড়ে যখন অচলাবস্থা হয়, তখন গণমাধ্যম ভোগান্তির চিত্র তুলে ধরছে। সব বন্ধ হলে অচলাবস্থা তো সৃষ্টি হবেই। বাস্তবতার নিরিখে রয়ে-সয়ে চলতে হবে।’ বিজ্ঞাপন
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘সড়ক আইনের বিধি হয়ে গেলে অনেক কিছু সমাধান হবে। আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। সিদ্ধান্ত তো চাপিয়ে দেওয়া হয়নি। সবার সঙ্গে আলোচনা করে বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
‘পরিবহন নেতাদের কাছে সরকার জিম্মি কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সরকার কারও কাছে জিম্মি নয়।’ যদি দিনের পর দিন অচলাবস্থা চলতে থাকে তবে কি ধরনের সংকট তৈরি হতে পারে?- সাংবাদিকদের কাছে সে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, ‘এসব বিবেচনা করেই আইনটির সহনীয় প্রয়োগের কথা বলা হয়েছে। পরিবহন নেতা কিংবা চালক-শ্রমিকদের হুমকিতে সরকার পিছু হটেনি।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এখানে পরিবহন নেতাদের সিদ্ধান্তের বাইরেও ধর্মঘট করা হয়েছে। সেখানে নানা মেরুকরণ ছিল।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘লাইসেন্স জটিলতা দ্রুত নিরসনে বিআরটিএ কাজ শুরু করবে। জনবল বাড়ানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দ্রুত জনবল সংকটের সমাধান হবে। চালক তৈরির জন্য প্রকল্প আছে। বিআরটিসি ও বিআরটিএ মিলে উদ্যোগ নিয়েছে। দক্ষ চালক সৃষ্টিতে এ পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।’