আনন্দময় ভ্রমণ শুধু যে মনকে চাঙা করে এমন নয়, শরীরের তালিকা তৈরি করুন।

লাগেজ অনেক ঝামেলার সৃষ্টি করে। তাই সব জিপার কাজ করে এমন ওপরও রয়েছে এর প্রভাব। আর আপনি যদি অবকাশ যাপন বা ছুটি

পরিপাটি এবং মাঝারি মানের লাগেজ ব্যবহার করাই বুদ্ধিমানের কাজ। ভ্রমণে যাওয়ার আগে অবশ্যই একটি তালিকা বা চেকলিস্ট করে কাটানাের জন্য দুরে কোথাও যেতে চান তবে আপনাকে অবশ্যই।

এতে করে সব জিনিসপত্র রাখা যাবে এবং গােছানােও থাকবে। নেবেন। কোথায় ঘুরবেন, সঙ্গে কী কী নেবেন এগুলাে চেকলিস্টে সঠিক পরিকল্পনা করতে হবে। • অলটাইম প্রতিবেদক উল্লেখ থাকলে ভ্রমণের আগে এবং ফিরতি পথে প্রয়ােজনীয়

পােশাক নির্বাচন করুন জিনিসপত্র গুছিয়ে নেয়া সহজ হয়, সঙ্গে সময়ও বাঁচে।

ভ্রমণ।

ভ্রমণের স্থান এবং পরিবেশ মাথায় রেখে পােশাক নির্বাচন স্থান ও বাজেট নির্ধারণ করুন। প্রয়ােজনীয় কাগজপত্র সঙ্গে রাখুন।

করন। খুব বেশি আঁটসাঁট, রঙিন, চকচকে পােশাক না পরে বেড়াতে যাওয়ার আগে অবশ্যই আপনাকে সিজনের দিকে খেয়াল রেখে স্থান

হালকা রঙের আরামদায়ক পােশাক সঙ্গে নিন। রােদ থেকে বাঁচার নির্বাচন করতে হবে। যেখানে বেড়াতে যাবেন সেখানকার আবহাওয়া, রাস্তাঘাট, দূরপাল্লার ভ্রমণে ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড, জাতীয় পরিচয়পত্র,

জন্য কাপড়ের টুপি বা ক্যাপ, রােদচশমা খুব ভালাে কাজে দেবে। হােটেল-রেস্তোরা, আইনশৃঙ্খলার অবস্থা সম্পর্কে ভালােভাবে জেনে নিন। পাসপাের্ট, ভিসা, ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ অন্যান্য দরকারি কাগজপত্র

জুতার ব্যাপারে বাড়তি মনােযােগ দিন। তাপ নিরােধক, ঢিলেঢালা এছাড়াও কোথায় কোথায় ঘুরবেন, সেগুলাের ইতিহাস ও মজার ফ্যাক্টরগুলাে।

সঙ্গে নিন। প্রয়ােজনে এসবের একসেট ফটোকপি সঙ্গে রাখুন। যাতে হারিয়ে পােশাক এবং আরামদায়ক কেডস আপনার ভ্রমণকে আনন্দময় করে তুলবে। জেনে নিন। এতে করে আপনি সহজে ভ্রমণের খরচ নির্ধারণ করতে পারবেন।।

গেলেও ডিজিটাল কপির সাহায্যে অন্তত পরিস্থিতি সামাল নিতে পারেন। এছাড়া ফলে আপনার ভ্রমণ সহজ এবং আনন্দদায়ক হবে। মােবাইল পাওয়ার ব্যাংকসহ দরকারি ডিভাইস সঙ্গে নিন।

খাবার নির্বাচনে সতর্ক হন। বড় আকারের লাগেজ পরিহার করুন

ভ্রমণের খাবার-দাবারের ব্যাপারে প্রথমেই আপনাকে মাথায় রাখতে হবে।

হাইজেনিক ফ্যাক্টর। যে খাবারটি খাচ্ছেন সেটি স্বাস্থ্যসম্মত কিনা যাচাই করে ভ্রমণে আপনার মূল লক্ষ্য থাকা উচিত ভালাে সময় কাটানাের দিকেই। তাই

নিন। ভ্রমণের ক্লান্তি দূর করতে এবং দেহকে রিচার্জ করতে সহজপ্রাপ্য ও সকাল-বিকাল আলাদা পােশাক ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক হন। কারণ আপনার।

উচ্চপুষ্টিগুণসম্পন্ন খাবারকে গুরুত্ব দিন। সঙ্গে শুকনাে এবং ফল জাতীয় খাবার ভ্রমণকে মাটি করতে একটা ভারি ব্যাগই যথেষ্ট। দূরের যাত্রায় বড় আকারের

রাখুন। সকালের খাবারে আঁশযুক্ত, শর্করাসমৃদ্ধ এবং দুপুরের খাদ্য তালিকায় সহজে পরিপাক হয় এমন খাবার রাখুন। এছাড়া ঘুরতে যেয়ে টুরিস্ট রেস্টুরেন্টে খাওয়ার চেয়ে কোনাে দর্শনীয় স্থানে পিকনিক করতে পারেন। স্থানীয় কোনাে ঐতিহ্যবাহী খাবার থাকলে তা খেয়ে দেখতে পারেন। এতে স্থানীয় সংস্কৃতি, রীতিনীতি সম্পর্কেও জানতে পারবেন। ফাস্ট এইড বক্স সঙ্গে রাখুন। খাবার স্যালাইন, প্যারাসিটামল, এন্টিসেপটিক মলম, বমি, বদ হজমের ওষুধ, সর্দি-কাশি বা যে কোনাে ধরনের এলার্জিসহ ইমার্জেন্সি ওষুধ সঙ্গে রাখুন। এছাড়া অবশ্যই সব সময় বিশুদ্ধ খাবার পানি সঙ্গে রাখতে ভুলবেন না। দেখা যাবে প্রয়ােজনের সময় এ ছােট পদক্ষেপ অনেক কাজে দেবে। বিকল্প ব্যবস্থা করে রাখুন। অনেক সময় পরিকল্পনা মতাে সবকিছু হয় না। না চাইলেও সামনে পড়তে পারে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। হঠাৎ কোনাে দুর্ঘটনার কারণে পরিকল্পনা পরিবর্তন হতেই পারে। তাই সবকিছুর বাইরে কিছু বিকল্প ব্যবস্থা করে রাখুন। কারণ প্রাথমিক প্রস্তুতি নিয়ে রাখলে যে কোনাে পরিস্থিতি সামলে ভ্রমণকে আনন্দময় করে তুলতে পারবেন।