বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪৫ অপরাহ্ন
ব্যবসায়ীকে ব্লাকমেইল করে টাকা আদায়, অবৈধ অস্ত্র রাখাসহ অসংখ্য অভিযোগে গ্রেফতার বহিষ্কৃত যুবলীগ নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া এখন রিমান্ডে। তার মামলা তদন্ত করছে গোয়েন্দা পুলিশ। তার বিরুদ্ধে চলমান তদন্ত নিয়ে ‘মনগড়া’ তথ্য প্রচার না করতে সংবাদমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ।
মহানগর পুলিশের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তদন্তাধীন মামলার বিষয়ে রিমান্ডে থাকা অভিযুক্তদের সম্পর্কে মনগড়া তথ্য প্রচারের ফলে তদন্তকারী কর্মকর্তার ওপর মনস্তাত্বিক ও সামাজিক চাপ তৈরি হয়। ফলে বস্তুনিষ্ঠ তদন্ত ব্যাহত ও বাধাগ্রস্ত হতে পারে। এই প্রেক্ষাপটে ‘পেশাদারি ও দায়িত্বশীল আচরণ’ করতে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি অনুরোধ করা হয় পুলিশের বিবৃতিতে।
পাপিয়া নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে ছিলেন। তার স্বামী নরসিংদীর সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মফিজুর রহমান ওরফে মতি সুমন এবং তাদের দুই সহযোগীকে গত ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করে র্যা ব। ব্যবসায়ীকে ব্লাইমেইল করে গ্রেফতারের ভয়ে দেশ ছেড়ে পালাচ্ছিলেন তারা।
গ্রেফতারের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়, রাজধানীর বিভিন্ন হোটেলে তরুণী সরবরাহ করতেন পাপিয়া। গুলশানের হোটেল ওয়েস্টিনে বিলাসবহুল কক্ষ ভাড়া করে বিত্তবানদের নিয়ে যৌনবাণিজ্য চালিয়ে আসছিলেন এ নারী নেত্রী।
ওয়েস্টিনে পাপিয়ার কারবারে জড়িত হিসেবে কয়েকজন সচিব, সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দফতরের কর্মকর্তা, সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীর নাম এসেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
এ বিষয়ে মহানগর পুলিশের বিবৃতিতে বলা হয়, অভিযুক্তদের ডিবি হেফাজতে নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তাদের নিকট থেকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যসমূহ যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। বিচার্য বিষয়সমূহের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ সাক্ষীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
তবে তদন্ত প্রাথমিক পর্যায়ে থাকায় এ বিষয়ে গোয়েন্দা পুলিশের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে ‘সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য’ দেয়া হয়নি দাবি করে বিবৃতিতে বলা হয়, উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পাশাপাশি কিছু কিছু গণমাধ্যমে তদন্ত সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কোনো রকম আলাপ-আলোচনা না করে তদন্ত সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য প্রচার ও প্রকাশ করা হচ্ছে। তদন্তে প্রাপ্ত কথিত তথ্য হিসেবে বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গের নাম ও পরিচয় প্রকাশ ও প্রচার করছে। যার সঙ্গে তদন্তকারী কর্মকর্তা ও তদন্ত সংশ্লিষ্টদের সম্পৃক্ততা নেই কিংবা তদন্তে প্রাপ্ত তথ্যের সঙ্গে কোনো সামঞ্জস্য নেই।