বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪৩ অপরাহ্ন
মো. সোহেল রানা- কম্পিউটার প্রকেৌশলী
অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে অন্যান্য ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রের মতো অতিপ্রয়োজনীয় স্মার্টফোনও স্লো হয়ে যায়। স্মার্টফোন স্লো হওয়ার প্রধান কারণ অপারেটিং সিস্টেম সবসময় আপডেট না থাকাটা। একে সংক্ষেপে ওএস বলা হয়। এটি আপডেট রাখা স্মার্টফোনের জন্য খুবই প্রয়োজন। এছাড়া অন্যান্য কারণও রয়েছে। চলুন এক নজরে স্মার্টফোন ফাস্ট করার উপায় জেনে নেই।
সিস্টেম আপডেট করুন
বেশিরভাগ ফোনই নিয়মিত তাদের সিস্টেম আপডেট দেয়। নিরাপত্তা বাড়াতে ও নতুন ফিচার যেন ইউজাররা উপভোগ করতে পারেন সে কারণে এ ধরনের আপডেট দেওয়া হয়। তাই স্মার্টফোন স্লো হয়ে গেলে সিস্টেম আপডেট দিয়ে দেখুন।
ব্যাটারির যত্নে মনোযোগ দিন
মোবাইল চার্জ দেওয়ার সময় ফোন চালাবেন না। এমনকি ফোন সব সময় ফুল চার্জ করা অথবা একেবারে চার্জ শেষ করা ঠিক না। ব্যাটারি উৎপাদনের সময় ঠিক কতবার ফুল চার্জ হওয়ার সক্ষমতা রাখে তা নির্ধারিত থাকে। ঘন ঘন ফুল চার্জ দিলে ব্যাটারির ক্ষতি হয়।
অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ সরান
মোবাইল রিসেট দেওয়ার পর কিংবা নতুন কেনার পর সবসময় কিছু অ্যাপ থাকে যা আপনার কাজে আসে না। এদের বলা হয়- ব্লোটওয়ার। মূলত স্মার্টফোন কোম্পানিগুলো অতিরিক্ত আয়ের জন্য কিছু গেমস বা অতিরিক্ত অ্যাপ দিয়ে থাকে। এগুলো আনইনস্টল করুন।
সিস্টেম স্টোরেজ ফুল করবেন না
মোবাইলের সিস্টেম স্টোরেজ ব্যবহার করেন অনেকে। যে কারণে দেখা যায় দ্রুত সিস্টেম স্টোরেজ ভরাট হয়ে যাচ্ছে। এমন অবস্থায় সিস্টেম স্টোরেজ কখনোই ৯০ শতাংশের বেশি ভরবেন না। বাজারে এসডি কার্ড পাওয়া যায় তা ব্যবহার করতে পারেন। ভালোমানের এসডি কার্ড ব্যবহার করুন।
অ্যাপ্লিকেশন ক্যাশ সাফ করুন
আপনার ফোনে ক্যাশ ফাইল জমে খেয়াল করবেন হয়তো। অনেকে নামটি শুনলেও কোথায় আছে জানেন না। মূলত ক্যাশ ফাইল হলো ইন্টারনেট ব্যবহারের সময় ফোনে ব্রাউজার থেকে জমা হওয়া কিছু ফাইল। প্রায় প্রতিটি অ্যাপ বিশেষত গুগলের ইউটিউব, জি-মেইল, ফেসবুক ও ভারী গেমের অ্যাপ ক্যাশ জমা করে। এসব অ্যাপ্লিকেশন ক্যাশ ফাইল আপনার ফোনকে স্লো বানিয়ে দেয়।
অ্যাপ্লিকেশনকে যত্রতত্র পারমিশন দেবেন না
ফোনে নতুন অ্যাপ ইনস্টল করার পরই নানা পারমিশন চেয়ে বসে। এতে আপনার প্রাইভেসি যেমন ঝুঁকির মধ্যে থাকে, তেমনই ব্যাটারির চার্জও কমে যায়। এ ছাড়া ফোন হয়ে যায় স্লো। কারণ সিস্টেম ডাটা এ পারমিশনগুলো সবসময় দেয় বলে অ্যাপগুলো ব্যাকগ্রাউন্ডে চালু থাকে।
অযথা ডাটা ও ওয়াইফাই চালু রাখবেন না
ফোনে সবসময় ডাটা বা ওয়াইফাই চালু রাখবেন না। যখন প্রয়োজন হবে তখনই এদের ব্যবহার করুন। এ ছাড়াও ব্যাকগ্রাউন্ড ডাটা নিষ্ক্রিয় রাখুন। তাতে ফোন স্লো হবে না।
বিজ্ঞাপন দেয় এমন অ্যাপ রাখবেন না
কম দামি ফোন কিংবা মিডরেঞ্জ অনেক কোম্পানির ফোনে বিজ্ঞাপনে অতিষ্ঠ হওয়ার জো। রুচি ও মানের দিক থেকে যেমন এ বিজ্ঞাপনগুলো নিম্নমানের তেমনি ফোন স্লো করার পেছনেও এদের হাত আছে। অবশ্য স্মার্টফোন কোম্পানির দেওয়া রমে বিজ্ঞাপন পুরোপুরি থামানো সম্ভব না হলেও অ্যাপের কিছু পারমিশন বন্ধ করে বিজ্ঞাপন থেকে কিছুটা রেহাই মিলবে। এ ছাড়াও এমন অ্যাপ ব্যবহার করবেন না যেগুলো প্রচুর বিজ্ঞাপন দেখায়। যদি ফোনের রমে সমস্যা থেকেই থাকে তাহলে কাস্টম রম বা স্টক এন্ড্রয়েড ব্যবহার করুন।
ফ্যাক্টরি ডাটা রিসেট
ফোনের অবস্থা যদি একদমই বাজে হয় তাহলে ফ্যাক্টরি ডাটা রিসেট ছাড়া উপায় নেই। এতে ফোন আবার প্রাথমিক অবস্থায় যেমন ছিল তেমন হয়ে যাবে। ফ্যাক্টরি রিসেট দেওয়ার পর আমাদের দেওয়া টিপসগুলো মেনে চললে আপনার ফোন নিয়ে বড় সমস্যায় পড়বেন না।